এয়ারলাইন্সে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, অভিযুক্ত আটক

একটা সময় বিমানবন্দরে অপরাধ করে পার পাওয়া গেলেও বর্তমান সময়ে আর সেই সুযোগ নেই। অপরাধ করলে ধরা পরতেই হবে। পূর্বের যেকোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে বেশ কঠোর অবস্থানে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। 

প্রবাসীদের হয়রানি করলে কাউকেই ছাড় দিচ্ছেনা তারা। বিমানবন্দরের সুনাম উজ্জ্বল করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সরকারের এই বাহিনী। গত ৭ ডিসেম্বর বিমানবন্দরে এক সৌদি আরব প্রবাসীর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অপরাধে এক নিরাপত্তা কর্মীকে আটক করে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের গোয়েন্দা দলের সদস্যরা।

ট্রাফিক হেল্পার পদে দেয়া জাল নিয়োগপত্র

এর কয়েকদিনের মাথায় ফের বিমানবন্দর থেকে আরেক প্রতারককে আটক করেছে তারা। এয়ারলাইন্সে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করার অভিযোগে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মো. জিয়াউর রহমান নামে

এক প্রতারককে আটক করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। রোববার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিমানবন্দরের বহুতল পার্কিং সংলগ্ন মসজিদের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। প্রতারক জিয়াউর রহমান যশোরের অভয়নগর উপজেলার নোয়াপাড়ার আব্দুল আজিজ মোল্লার ছেলে।

এ বিষয়ে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক জিয়া বলেন, আটক জিয়াউর রহমান নিজেকে একজন সিনিয়র কাস্টমস অফিসার হিসেবে বিভিন্ন মানুষের কাছে পরিচয় দিতেন। 

সেই সঙ্গে বিমানবন্দরে চাকরির দেওয়ার কথা বলে এবং ব্যাংক লোন দেওয়ার কথা বলে মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিতেন। পরে রাসেল আহমেদ (২৬), আরজু আহমেদ (৩৪), মোস্তাক আহমেদ (৫৭) ও শরিফুল ইসলাম (২৬) নামের চারজন ভুক্তভোগী এপিবিএনের কাছে অভিযোগ করেন।

ভুক্তভোগীরা রোববার এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশে এসে অভিযোগ দেন। এরপর বিমানবন্দরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় তিনি আসলে কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা নন। তিনি মূলত বিমানবন্দরের রপ্তানি কার্গো ভিলেজের একজন লোডার। 

তিনি চাকরি দেওয়ার নামে অনেকের সঙ্গেই প্রতারণা করেন। আটকের পর অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে বিমানবন্দর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে এপিবিএন।

খোজনিয়ে জানাগেছে, বিমানবন্দরে এখন অপরাধ করে পার পাওয়া দুষ্কর। হয়রানি কিংবা ঘুষ অথবা যেকোনো অভিযোগ পেলেই তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এমনকি বিমানবন্দর থেকে লাগেজ চুরি করা ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে আসছে এই বাহিনী। তাদের এমন কাজের প্রশংসা করছেন প্রবাসীরা।

إرسال تعليق (0)
أحدث أقدم